• শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৪:৩৪ পূর্বাহ্ন

আ.লীগ ও তাদের সমর্থকদের যে বার্তা দিল অন্তর্বর্তী সরকারসহ সব পক্ষ

Reporter Name / ১৪৬ Time View
Update : শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৪

গণশক্তি ডেস্কঃ

প্রায় দেড় যুগ পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পলায়নের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হয় আওয়ামী লীগ। লুটপাটকারী দলটির নেতাকর্মীরা যে যার মতো করে সেকেন্ড হোমে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে, হয়েছে বিপুল মামলাও। এরই মধ্যে নানান ইস্যুতে দেশে বসে এবং বিদেশ থেকে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতা এবং তাদের বিদেশি সমর্থকরা। এই বিষয়কে কেন্দ্র করে ঢাকায় অন্তর্বর্তী সরকার বিভিন্ন রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন। সব পক্ষকেই দিয়েছেন বার্তা। 

বুধ ও বৃহস্পতিবারের (৪ ও ৫ ডিসেম্বর) বৈঠক থেকে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা হারানো আওয়ামী লীগ এবং ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে দুটি বার্তা দিয়েছে। যা হলো- দেশের সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদার প্রশ্নে সরকার আপসহীন এবং ফ্যাসিবাদ হটাতে গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া সব পক্ষ তাদের প্রতিহত করতে এখনো লেগে আছে।

তথ্যসূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যা, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতার ও তার জামিন না হওয়া, ভারতীয় গণমাধ্যমে উসকানিমূলক নানা অপপ্রচার এবং আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা এবং জাতীয় পতাকার অবমাননাকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি অনেকটাই ঘোলাটে। যে কারণে দেশের পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতেই সব পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছে ইউনূস সরকার। এই বৈঠকে সব পক্ষকে একত্র থাকার আহ্বানও জানানো হয়েছে।

এদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশে চলমান বিভিন্ন ঘটনার জেরে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে। কোন কোন স্থানে সহিংসতার চিত্রও দেখা গেছে। এসব পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজনৈতিক দল, সংগঠনসহ বিভিন্ন ধর্মের নেতাদের নিয়ে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বৈঠক করেছেন ড. ইউনূস। সেদিন ৩৫টির বেশি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদার প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ থাকার ঘোষণা দেন। আওয়ামী লীগ ও তাদের সমর্থকদের; বিশেষ করে যারা দেশের পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে চায় তাদের প্রতিহত করতে একত্র থাকার আহ্বান জানানো

হয়।

 


More News Of This Category
bdit.com.bd