গণশক্তি ডেস্কঃ
এ ঘটনায় দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডাকেন উপাচার্য।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক পাঁচটি হলে কোরআনের পোড়া কপি পাওয়া গেছে। এ নিয়ে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
পরে ঘটনাটি তদন্তে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহা. ফরিদ উদ্দিন খানকে আহ্বায়ক করে নয় সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাদেরকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ আমীর আলী হলের মাঝে মুক্তমঞ্চে, শহীদ হবিবুর রহমান, শহীদ জিয়াউর রহমান হলের মসজিদের তাকে এবং মতিহার ও মাদার বখশ হলের ছাদে পোড়া কোরআন শরিফের কপি পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডাকেন উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব। তিনি বলেন, “এ ঘটনায় যারাই জড়িত থাকুক তাদের শনাক্ত করতে পারলে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। আমরা এরই মধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। এ ঘটনায় অপরাধীদের ছাড় দেওয়া হবে না।”
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
এদিকে পোড়া কোরআন শরিফ পাওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। বিকালে প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে তারা বিক্ষোভ মিছিল বের করে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন। পরে তারা সিনেট ভবনের সামনে প্যারিস রোডে সমাবেশ করে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত খুঁজে বের করে শাস্তির দাবি জানান।
এ সময় শিক্ষার্থীদের ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার’, ‘আল-কোরআনের অপমান, সইবে নারে মুসলমান’, ‘অ্যাকশন টু অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশান’, ‘ইসকনের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশান’, ‘দালালের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশান’সহ নানা স্লোগান দিতে দেখা যায়।
প্রতিবাদ সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষার্থী মুজাহিদ ফয়সাল বলেন, “এখানে এসে জানতে পারলাম, আরও তিনদিন আগেও নাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে এরকম ঘটনা ঘটেছিল। আপনারা গভীরভাবে লক্ষ্য করলে দেখবেন, গত ৫ তারিখের পরে যারা লেজ গুটিয়ে পালিয়েছে, তারাই এই কাজ করেছে। এখানে দাঁড়িয়ে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিলাম, এর ভিতরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে তাদেরকে খুঁজে বের করতে
হবে।”