আসিফ রায়হান:
টঙ্গীর তুরাগ তীরে প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত শেষ হয়েছে। রবিবার আখেরি মোনাজাত চলাকালে হঠাৎ মুসল্লিরা আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করেন। একটি ড্রোন মাটিতে পড়ার শব্দ থেকে এই আতঙ্ক বলে জানা গেছে। এতে শতাধিক মুসল্লি আহত হয়েছেন।
এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪০ জন।
আখেরি মোনাজাত চলাকালে সকাল ৯টা ৩১ মিনিটে টঙ্গী স্টেশন রোডে ফ্লাইওভারের পূর্ব পাশে টঙ্গী-কালিগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী গাজীপুরের কালীগঞ্জের বাহাদুর সাদী ইউনিয়নের জুগলি গ্রামের আমজাদ হোসেন বলেন, আমার সামনে হঠাৎ তিনটি ড্রোন পড়ে গিয়ে বাঁশের সঙ্গে লেগে শব্দ হয়। এতে আতঙ্ক দেখা দিলে দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়।
টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) বেলায়েত হোসেন বলেন, ড্রোন পড়ার আতঙ্কে অনেক মুসল্লি দৌড়ে হাসপাতালে আসেন।
আহতদের মধ্যে টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া ৪০ জন হলেন— আবুল কালাম (৫৫), আলামিন (৩২), আজাদ (৩০), ওবায়দুল্লাহ (৩২), রাতুল (১৮), আব্দুল করিম (২৮) সাইফুল ইসলাম (৩৮), জাফর উদ্দিন (৩১) জয়নাল (২৪), মকবুল হোসেন (৬৪) সোহাগ (৬০), মোশারফ (৩০), কোরবান আলী (২৫), সাইফুল ইসলাম (৩৫), সালামত (১৮), মুস্তাকিন (৩৩), কবির হোসেন (৩০), মুবিন (১৮), আয়নাল হক (২২), মামুন হোসেন (২১), মো. বাসেদ (১৩), খোকন (৪৩), জুয়েল (২৫), কবির হোসেন (৪৬), নাজিম উদ্দিন (৪১), জবরুল (৩১), জয়নাল (৫৪), কাওছারুল আলম (২৮), রায়হান (২৭), জহরুল (২৮), আলি নেওয়াজ (৩৮), আফতাব উদ্দিন (৪৭) মো. আমান (২৮), আনোয়ার (৪৫), সোহেল (৩৫), ফজল হক (৪৫) ও মুজাফফর আলী (৪৪) ।
টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ ছাড়াও শতাধিক মুসল্লি আহত হয়ে হাসপাতালে এসেছেন। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তারা ইজতেমার মোনাজাত চলাকালে আতঙ্কে হুড়োহুড়ি করার সময় পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন।
টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফরিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে ব্যাটারি শেষ হয়ে যাওয়ায় একটি ড্রোন পড়ে যায়। এর শব্দ থেকে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।